বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০২:৪৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ক্যান্সারের লক্ষণ কী নিউমোনিয়া…….?

ক্যান্সারের লক্ষণ কী নিউমোনিয়া…….?

ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান: ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ৮০ ভাগ কারণ ধূমপান। দেখা যায়, ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন এমন আটজনের মধ্যে একজন ধূমপান করতেন না।

কিডনি, লিভার, হাড়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে যে মৃত্যু হয় তার থেকে অনেক গুণ বেশি ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ধূমপান, গাড়ির গ্যাস বেশি মাত্রায় এক্সপোজার, অ্যাসবেসটস ও অন্যান্য কেমিক্যালের সংস্পর্শে থাকা, পরিবেশ দূষণ, খাদ্যাভ্যাস, এ রোগের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। প্রথম অবস্থায় ফুসফুস ক্যান্সারের কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। কাশির সঙ্গে রক্ত, কাশির কারণে কণ্ঠস্বর পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। কর্কশ, খসখসে হয়ে যেতে পারে কণ্ঠস্বর। যদি দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন থেকে যায়, হঠাৎ করে প্রায় ১০ পাউন্ড বা তার বেশি ওজন কমে যাওয়াও হতে পারে ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণ। ডায়েট বা ব্যায়াম ছাড়া ওজন কমে যাওয়া ক্যান্সারের লক্ষণ। ক্যান্সারের কোষ খাবারে শক্তি সব শুষে নিয়ে অপ্রত্যাশিতভাবে ওজন কমিয়ে দেয়। খাওয়ায় অরুচি, চেস্ট পেইন, শতকরা ৫০ ভাগ মানুষের ফুসফুস ক্যান্সার ধরা পড়ে বুক এবং কাঁধের ব্যথা নির্ণয়ের মাধ্যমে।

ঘন ঘন নিউমোনিয়া ব্রঙ্কাইটিস আক্রান্ত হওয়া রোগীদের ফুসফুস ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। অনেক সময় টিউমার শ্বাসনালির কাছে অবস্থান করে যার ফলে নিউমোনিয়া বা ব্রঙ্কাইটিস আক্রান্ত হওয়ার রোগীদের ফুসফুস ক্যান্সার দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে অতি শিগগির চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

দীর্ঘদিন ধরে ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিস (সিওপিডি), অ্যাজমা থাকলে শ্বাসকষ্ট হয়। যদি দেখা যায় শ্বাসকষ্টের ধরন পরিবর্তন হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসা জরুরি।

প্রাথমিক অবস্থায় এ ক্যান্সার ফুসফুসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। লক্ষণ দেখা যায় না বলে এ স্টেজে খুব কম রোগী বুঝতে পারেন যে, তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যান্য রোগ নির্ণয়ের সময় এক্সরে করতে গিয়ে ফুসফুস ক্যান্সার নির্ণয় হতে পারে। ধূমপান অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। ফুসফুস ক্যান্সারের অন্যতম এবং প্রধান কারণ হল ধূমপান। ধূমপান ত্যাগ করুন, সুস্থ থাকুন। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ দুই ধরনের ধূমপান থেকে যতটা সম্ভব নিজেকে দূরে রাখুন। পরিবারে কারও ক্যান্সার থাকলে সতর্ক থাকুন। ৫০ বছর পরই এ ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। বছরে একবার অবশ্যই হেলথ চেকআপ জরুরি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877